
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের সরঞ্জাম ও ট্রান্সমিটার চুরির মুল হোতা শিমুলের সন্ধান মিলেছে। দিনের বেলায় সাধারণ গ্রাম ইলেকট্রিশিয়ান কিন্তু রাত হলেই বনে যান চোরদের সরদার। এম চাঞ্চল্যকর তথ্যের সন্ধান মিলেছে। চুরির মাল কেনা বেচা করে শিমুল বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। পল্লী বিদ্যুৎ আটি বাজার জোনাল অফিসের সামনেই রয়েছে শিমুলের একান্ত ভাড়া নেয়া অফিস। সেখানে সব সময় ট্রান্সমিটার ও বিদ্যুতে ব্যবহৃত আইটেম দিয়ে অফিস ভরা থাকে। দিনের বেলায় অফিস বন্ধ থাকলেও রাতের বেলায় খোলা থাকে শিমুলের অফিস। জনমনে নানা প্রশ্ন সারা রাত অফিস খোলা রেখে কি করেন।খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ঃ ২০২২ ইং আলোচিত আটি বাজার জোনাল অফিসের সাবেক তদন্ত ইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন চুরির কৌশল শিমুল শিমুল কে শিখিয়ে ছিল। এবং শিমুলের হাথে তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়েছিলেন চুরি করা মালমাল কেনা বেচার জন্য। কিছু দিন পরেই তদন্ত ইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিনের নামে ঘোষ বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে শাস্তিযোগ্য বদলি হন তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চোরের সদস্য বলেনঃ শিমুল মোটা অংকের টাকার মাদ্ধ্যমে আমদের ব্যবহার করে। রাতের আধারে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার আনার জন্য ঠিকানা দিলে আমরা তা কৌশলে নিয়ে আসি। চুরির সময় চলন্ত বিদ্যুৎ শাটডাউন এর জন্য বন্ধুত্ব করে রাখেন একাধিক লাইনম্যানদের সাথে।
টাকার মাধ্যমে লাইনম্যান কে বল্লেই যে কোনো মুহূর্তেই ঠিকানা মত বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন। বিদ্যুৎ বন্ধের পরে আমাদের ট্রান্সমিটার খুলে আনতে বললে আমরা তাহা শিমুলের কাছে পৌঁছে দেই। পরে ঠিকাদরদের জোগ সাজসে নতুন গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেন শিমুল চক্ররা এমনি ঘটনা ঘটেছিল বামন শুর বাহেরচর এলাকায়। গত জুলাই মাসের ২২ তারিখ সন্ধা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বাহের চর এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে তিন টি ট্রান্সমিটার চুরি করে শিমুলের লোক জন।
সে সময় এলাকার লোকজন টের পেয়ে ৭৫ কেভির তিন টি ট্রান্সমিটার সংযোগের মিটার নাম্বার জব্দ করেন। উপস্থিত থাকা চোর সদস্যের ঠিকাদার সহ একাধিক ব্যক্তিদের আটক করলে পরে মোঠ ফোনে শিমুলের জবানবন্দিতে ছেড়ে দেন এলাকাবাসীরা। মোঠ ফোনে শিমুল বলেন সব কিছুই বৈধ সকালে আপনাদের কাছে কাগজ পাঠিয়ে দিবো।
কিন্ত থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। পরের দিন সকালে বাহের চর থেকে পরিত্যক্ত কারখানার চুরি হওয়া ট্রান্সমিটারের মালিক এলাকার লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয় আটি বাজার জোনাল অফিসে।
সকলের তোপের মোখে পরেন শিমুল।ভুক্তভোগীরা মালমা করবেন শুনে। বাধ্য হয়ে চুরির কথা স্বীকার করেন।
পরে চুরি করা ট্রান্সমিটার আসল মালিকের কাছে ৩ টি ফেরত দেন। সাংবাদিকের এটকি চৌকস টিম সরেজমিনে গেলে একাধিক এলাকাবাসী বলেনঃ এমন চুরি প্রতি নিয়ত হচ্ছে চোরদের বড় একটি মজবুত সিন্ডিকেট রয়েছে জাদের সেল্ডার দিচ্ছেন পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারিরা। তাদের তদন্ত করে ধরে আইনের আওতায় আনা অতিব জরুরি।
এদিকে চোরদের মুল হোতার সদস্য ঠিকাদার ( মুতালিব) কাছে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা এরিয়ে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে চায়ের দাওয়াত দেন। এবং তার কাছে গত ২২ জুলাই সন্ধায় বিদ্যুৎ সাটডাউনের কে করেছিলো লাইনম্যানের নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে অনিহা প্রকায় করেন। উল্লেখিত বিষয় ঢাকা পবিস ৪ এর জিএম মোহাম্মদ খালেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ তিনি বলেন উল্লেখিত বিষয়ে আমার যানা নেই জদি সঠিক তথ্য পাই তাহলে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।