

স্টাফ রিপোর্টারঃ
মিটার আছে। তবে, ব্যবহার নেই। ভাড়া নির্ধারিত আছে, কেউ মানেন না। চালকরা ভাড়া হাকেন ইচ্ছামতো। অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে গণপরিবহনের অন্যতম বাহন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায়।
রফিক আহমেদ। প্রিয় সন্তানদের নিয়ে উত্তরা থেকে মিরপুরে চিড়িয়াখানায় যেতে চান। উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে অপেক্ষোয়। একে একে কয়েকটি অটোরিক্সা চালকের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু ভাড়া নিয়ে বনিবনা হচ্ছিলো না। অগত্যা চুক্তিতে বাড়তি ভাড়ায় রাজি হন।
শুধু রফিক আহমেদ নয়। দিনের পর দিন চালকরা মিটারে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় দরদাম করে চুক্তিতে যাওয়াই যেন স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেনেও নিয়েছেন সবাই। ফলে মিটার শুধু একটি অচল যন্ত্র মাত্র। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশেরও নেই কোনো তদারকি।
চালকদের দাবি, যানজটের ঢাকায় দীর্ঘদিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ধরেই মালিকরা দ্বিগুণ জমা নিচ্ছেন। এ কারণেই মিটারে যাওয়া সম্ভব হয় না। অগত্যা পুলিশের হয়রানি এড়াতে দু’পক্ষই বলছে, মিটারে চলছে।
বাজারে একটি নতুন অটোরিকশার দাম সাড়ে পাঁচ লাখ থেকে পৌঁনে ছয় লাখ টাকা। কিন্তু মহানগরীতে শুধু বিআরটিএ’র নিবন্ধন পাওয়া অটোরিক্সাই চলাচলেরই অনুমতি আছে। এ ধরনের একেকটি অটোরিকশা হাতবদল হয় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকায়। সেই টাকা তুলে নেয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বাস্তবতায় এই অটোরিক্সার নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এজন্য সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ছোট পরিবহনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
সবা:স:জু- ৭২৩/২৫