নেতৃত্বে ডিজি‘র ভাই নুর উদ্দিন আনিছ ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ,বদলী ও টেন্ডার বাণিজ্যে!

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্যাপক হারে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় বিরক্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কারণ, সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তাঁরা ব্যবসায় জড়াচ্ছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বেতন-ভাতা বাড়ানোর পরও সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সরকারের নীতি নির্ধারকদের। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যবসায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া, সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। অন্য কোনো চাকরি বা কাজ গ্রহণ করতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী সন্তান,ভাই, বোনও ব্যবসা করতে পারবেন না।
সরকারী এই বিধি ভঙ্গ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন তার আপন ভাই নুর উদ্দিন আনিছের মাধ্যমে অধিদপ্তরে ঠিকাদারী ব্যবসা করাচ্ছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। কেবল ঠিকাদারী ব্যবসায় নয়, অধিদপ্তরের নিয়োগ ,বদলী ও টেন্ডার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কিছুদিন আগে এই অধিদপ্তরে ৫৫০ জন ফায়ার ফাইটার ও অন্যান্য কর্মচারি নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগে প্রার্থী প্রতি ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ঊঠেছে ডিজির ভাই নুর উদ্দিন আনিছের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আনিছের তদবীর ছাড়া কোন বদলীই হচ্ছে না অধিদপ্তরে। একেকটা বদলীতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুস নেওয়া হচ্ছে।
সুত্রমতে, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন অধিদপ্তরটিকে তার ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে একক সিদ্ধান্তে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অধিদপ্তরে একজন পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), একজন উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সহ আরো অনেক কর্মকর্তা থাকলেও তাদের কোন মতামত নেওয়া হচ্ছে না। ডিজি নিজেই ফাইল স্বাক্ষর করে নীচে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
কিছুদিন আগে অধিদপ্তরের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন তার আপন ভাই নুর উদ্দিন আনিছ পরিচালিত মেসার্স নজির এন্ড সন্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি কেজি ১৪ টাকা বেশী দরে মশুর ডাল ক্রয় করে দেশের সকল বিভাগে সরবরাহ করেন। যাতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয় মর্মে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান।

অভিযোগ উঠেছে যে, মহাপরিচালক এই অধিদপ্তরে যোগদান করার পরেই কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তিনি অর্থের বিনিময়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের ঢাকার বাইরে বদলী করে অদক্ষ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেছেন। ফলে অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অদক্ষ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অধিদপ্তর পরিচালনা করার কারণে বঙ্গবাজার অগ্নি কান্ডের সময় ক্ষুব্ধ জনগন অধিদপ্তরে হামলা ও ভাংচুর করেন।

বর্তমানে অধিদপ্তরটিতে যে সব কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে অর্থ লুটে নিচ্ছেন তারা হলেন:

বর্তমান মহাপরিচালকের ভাই নুর উদ্দিন আনিছ, পরিচালক (প্রশা: ও অর্থ) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ওয়ারহাউজ ও ফা: প্রি:) মানিকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (অপারেশন) নজমুজ্জামান, উপপরিচালক (রাজশাহী) ওহিদুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী (রাজশাহী) , সিনিয়র স্টেশন অফিসার (চট্রগ্রাম) খলিলুর রহমান প্রমুখ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখার কাজের জন্য বছরে সরকারী বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা। এই টাকার কাজ কোটেশনের মাধ্যমে করার কথা থাকলেও ডিজি তার ভাইয়ের বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কোটেশন দিয়ে টাকাগুলো হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব কাজের মধ্যে ডিজি অফিসের করিডোর মেরামত, সদর দপ্তরের বাউন্ডারি ও গেইট মেরামত, সেমিনার কক্ষ মেরামত ও কেন্টিন নির্মাণ করা হয়।

অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজের জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ার নেই। এ সকল কাজ করতে ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রয়োজন কিন্তু এসব না মেনেই ইঞ্জিনিয়ার বিহীন নিজের মতো করে টাকা আত্মসাৎ করতে নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে কাজ করেন ডিজি মাইন উদ্দিন। এসব কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতায় থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করে ডিজি তার ভাই নুর উদ্দিন আনিছের নামে বেনামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করান যা নিয়ে অধিদপ্তরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এসব কাজে টেন্ডার করার নিয়ম থাকলেও তা না করে কোটেশনের মাধ্যমে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নুর উদ্দিন আনিছকে অধিদপ্তরের সবাই অলিখিত ডিজি হিসেবে চিনেন। ফায়ার সার্ভিসের সব কর্মকর্তার বদলী হতে নুর উদ্দিন আনিছের দরবারে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে থাকেন। টাকার বিনিময়ে বদলী হতে হয় সব কর্মকর্তাদের। খান খলিলুর রহমান বর্তমানে চট্রগ্রামে আছেন। তাকে টাকার বিনিময়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পদায়ন করা হয়েছে। এই টাকা ডিজির ভাই নুর উদ্দিন আনিছ নিজ হাতে গ্রহন করেছেন।

এই অবৈধ লেনদেন করার জন্য নুর উদ্দিন আনিছ মিরপুর কয়েকটি দরবার অফিস পরিচালনা করেন। সেই অফিসগুলোতে বদলী, নিয়োগ ও টেন্ডার সংক্রান্ত টাকা লেনদেন হয়। এই

তিসতা বিডি ইন্জিনিয়ারিং, বাড়ী নং ৭,ব্লক ১৪,পল্লবী,মিরপুর। এর মাধ্যমে ডিজির ভাই নুরুদ্দিন এই প্রতিষ্টানের সকল কাজ কর্ম টেন্ডার নিযে থাকে আর এই অফিসে বসেই তিনি ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রযেছে। এখান থেকে
পরে রাতের আঁধারে টাকাগুলো মিরপুর থেকে ডিজির বনানীর বাসায় চলে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষা এক ঘণ্টা পর শুরু
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গত শনিবার বিকেল ৪টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বনির্ধারিত সময় থাকলেও শুরু হয়নি। ফলে ২০ থেকে ২৫ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বিকেল ৫টায় পরীক্ষা শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পরীক্ষার দিন প্রশ্ন ছাপিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেয় ফায়ার সার্ভিস। বিএনপির কর্মসূচির ফলে সড়কে জ্যাম এবং প্রশ্ন ছাপাতে কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্ন পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। ফলে পরীক্ষা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয় ওই কেন্দ্রে। পরে সবারই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করেছে তাদের অনেকে পরীক্ষার্থী নয়। রমনা থানা-পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে পরে ছেড়ে দিয়েছে। জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর, ওয়ারলেস মেকানিক, অফিস সহকারী, স্টোর সহকারী, ইলেকট্রিশিয়ান ও অফিস সহায়কের পদে নিয়োগ পরীক্ষা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর চারটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
রমনা থানার ওসি  বলেন, পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হওয়ায় আন্দোলন করেছিল পরীক্ষার্থীরা। পরে এক ঘণ্টা পর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন এর অফিসে ও সেল ফোনে বারবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আসছে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার॥
সরকার পতনের একদফা দাবিতে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য আরও সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্র থেকে তৃনমূল-সব পর্যায়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে এবার সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নেতাকর্মী ও শরিকদের অন্ধকারে না রেখে সবার মত নিয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে নতুন কর্মসূচি। আপাতত ঢাকায় টানা আন্দোলনের পরিবর্তে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ, পদযাত্রাসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে চায়। সময় ও সুযোগবুঝে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই দাবি আদায়ের পরিকল্পনা দলটির।

সম্প্রতি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনে কী কী দুর্বলতা ছিল, তাও চিহ্নিত করেছে বিএনপি। সে অনুযায়ী আগামী দিনের কর্মসূচি সফলে করণীয় নিয়ে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড। নতুন কর্মসূচি প্রণয়নে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোট নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে একদফা দাবিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আবারও একটি একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পাবে না। গণ-আন্দোলনে সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। কারণ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সরকারের পদত্যাগে একদফা দাবিতে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে এ সরকারের পতন।’

শুক্রবার নয়াপল্টনের সমাবেশে সরকার হটানো আন্দোলনে মরণপণ যুদ্ধের সর্বাÍক প্রস্তুতি নেওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারকে আরেক ধাক্কা দিতে হবে। সামনে এর বিকল্প কোনো পথ নেই। আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। জাতির অস্তিত্বের জন্য সরকার পতন আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে-সেটাই হচ্ছে জনগণের একমাত্র চাওয়া।’

সূত্র জানায়, দুদিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এসব বৈঠকে সমমনা দলের একাধিক নেতার আশঙ্কা-আন্দোলন দমাতে হামলা-মামলা ও দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় হঠাৎ করে কর্মসূচি পরিবর্তন করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনায় একাধিক কর্মসূচি রাখা উচিত। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা যায়।

সমমনা দলগুলোর একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, বিএনপির দীর্ঘদিনের জোট শরিক ছিল জামায়াতে ইসলামী। যুগপৎ আন্দোলনে তাদেরও যুক্ত করার প্রয়োজনীতার কথা উঠেছে বিভিন্ন ফোরামের বৈঠকে। জামায়াতকে সঙ্গে নিতে বিএনপিতে পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্র“প থাকলেও আন্দোলন ও ভোটের মাঠে তাদের গুরুত্ব অনুধাবনের কথা বিবেচনায় নেওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে।

সম্প্রতি বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। যে কারণেই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজার সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতি দিয়েছে। জামায়াত এখন পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করলেও সামনে একপর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ঢাকার প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি তাদের সরকার পদত্যাগের চ‚ড়ান্ত কর্মসূচি ছিল না। ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি জানান দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর পাশাপাশি সরকারের ভ‚মিকাও প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও বাস্তবে তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন। বিরোধী দলকে মাঠ ছাড়া করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবার যেনতেন একটি নির্বাচন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য-সেটাই উšে§াচিত হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকার বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তোয়াক্কা করছে না বলেও প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।

তারা আরও জানান, অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের কিছু দুর্বলতাও চিহ্নিত করা গেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে দলীয় হাইকমান্ডকে কথা দিয়েছিল ওই কর্মসূচিতে থাকবেন। সে অনুযায়ী অনেককে প্রবেশপথের কর্মসূচিতে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাই কর্মসূচিতে অংশই নেননি। এমনকি আশপাশের জেলার শীর্ষ নেতাদের সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকার কথা থাকলেও সেভাবে যাননি।

গাজীপুর জেলা ও মহানগরের উদাহরণ দিয়ে নেতারা জানান, উত্তরার বিএনএস ভবনের সামনে বৃহত্তর উত্তরাসহ পাশের গাজীপুর মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীদেরই বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরার নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও ওই দুই সাংগঠনিক জেলার একবারেই কমসংখ্যক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। আগের দিন মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় থাকলেও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সমন্বয় না থাকায় তাদের অর্ধেকও নামানো যায়নি।

সূত্রমতে, অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে নেতাদের কার কী ভ‚মিকা ছিল তা ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছেন। সমস্যা চিহ্নিতও করা হয়েছে। তাই আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সমন্বয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সেভাবেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। চ‚ড়ান্ত আন্দোলনে সবাইকে মাঠে নামার জন্য যা যা করণীয় তা ঠিক করা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি নিয়েই এবার মাঠে নামা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না জনগণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে তা দমন করা যাবে না। রাজনীতি হচ্ছে কৌশলের খেলা। সেই খেলায় বিএনপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একদফা আন্দোলনে আমরাই জয়ী হব।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন