শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সেরা ৭ খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। অনেকেই শারিরীক দূর্বলতা এর কারণে শীতে নিজেকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন, এবং এজন্য বিভিন্ন খাবারের উপর নির্ভর করেন। তবে কিছুদিন পর দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

শীতে শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাইট্রাস ফল, রসুন, দই ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।

 

হলুদ:হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী সমৃদ্ধ। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি যোগায় এবং লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্লান্তি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 

আদা: আদা প্রাচীনকাল থেকেই নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রদাহবিরোধী হিসেবে বিশেষ কার্যকারী। আদা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ক্লান্তি অনুভবের সময়ে আঠকরের জন্য আদা খাওয়া উপকারী।

রসুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রসুন একটি অতি কার্যকরী উপাদান। এতে থাকা অ্যালিসিন, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।

 

গ্রিন টি: গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ, বিশেষ করে এতে থাকা ক্যাটিচিন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে সজীব রাখে। ক্যাফিন শরীর ও মনকে চাঙা করার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও ভাল রাখতে সহায়তা করে। পরিমিত পরিমাণ গ্রিন টি পানে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

 

পালং শাক:  এই শাকে ভিটামিন সি, ই, এবং বিটা-ক্যারোটিন সহ নানা খনিজ রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সহায়তা করে। পালং শাকের আয়রন রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।

 

দই:দই হলো ভালো ব্যাকটেরিয়ার একটি পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর উৎস। এর মধ্যে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যে উপকারী। সুস্থ অন্ত্রের জন্য ইমিউন সিস্টেম জরুরি, আর দই সেই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।

 

সাইট্রাস ফল: লেবু, মোসাম্বি, কমলা, এবং আঙুর সাইট্রাস ফলের অন্তর্ভুক্ত। এই ফলগুলো ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

 

এ খাবারগুলো আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

 

সবা:স:জু-২৪১/২৪

পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকোলেট খাবেন যে কারণে!

স্টাফ রিপোর্টার:

ডার্ক চকোলেট অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে নারীরা। পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকোলেট খেতে ইচ্ছা করাটা বেশ পরিচিত। অনেকের কাছে এটি কেবলই ক্রেভিং মনে হলেও পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে, ডার্ক চকোলেট খেতে চাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা আসলে উপকারী হতে পারে।

পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্পিং, যা ডিসমেনোরিয়া নামে পরিচিত। এটি অনেক নারীকে দুর্বল করে দিতে পারে। এটি জরায়ুর পেশী সংকোচনের কারণে ঘটে, সঙ্গে ইনফ্লামেশনও থাকে। ডার্ক চকোলেট ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। ম্যাগনেসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যার পেশী-শিথিলকারী বৈশিষ্ট্যে রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম ক্র্যাম্পিংয়ের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব এবং পিরিয়ডের সাধারণ অস্বস্তিও দূর করে।

পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকোলেট খাবেন যে কারণে

ক্র্যাম্পিং থেকে মুক্তি: ডার্ক চকোলেটে থাকা ম্যাগনেসিয়াম জরায়ুতে পেশী সংকোচন হ্রাস করে, যা ক্র্যাম্পিংয়ের কারণে সৃষ্ট ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে পারে।

মুড বুস্টার: পিরিয়ড কেবল শরীরকেই প্রভাবিত করে না, মেজাজও খিটখিটে করে দেয়। ম্যাগনেসিয়াম ফিল গুড হরমোন সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা পালন করে। সেরোটোনিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মন ভালো হতে শুরু করে। যা বিরক্তি, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ: ডার্ক চকলেটে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। প্রদাহ হলো পিরিয়ডের ব্যথার একটি প্রধান কারণ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কেবল প্রদাহ কমায় না বরং ভালো রক্ত ​​সঞ্চালনও বাড়ায়, সামগ্রিক অস্বস্তি কমায়।

কতটুকু খাবেন?

অতিরিক্ত না খেয়ে উপকার পেতে আপনার আসলে কতটা ডার্ক চকোলেট খাওয়া উচিত? ডার্ক চকোলেটের ২ থেকে ৩টি ছোট টুকরা খেলেই এক্ষেত্রে যথেষ্ট। এর বেশি খেলে আবার ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকতে পারে। তাই যেকোনো খাবারই খেতে হবে পরিমিত। কমপক্ষে ৭০-৮০% সলিড কোকো সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট খেতে হবে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান