গ্রেপ্তার হওয়া ইতালিয়ান নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ

আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইতালিয়ান নারী সাংবাদিক সিসিলিয়া সালাকে মুক্তি দিয়েছে ইরান। এরইমধ্যে তিনি ইতালিতে চলে গেছেন।

গত ১৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। সিসিলিয়াকে কুখ্যাত এভিন কারাগারের একটি নির্জন কক্ষে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। এরপর তাকে মুক্ত করতে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিল ইতালি।

শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির হস্তক্ষেপে কারামুক্ত হয়েছেন ইল ফোজলিওর ২৯ বছর বয়সী সাংবাদিক সিসিলিয়া সালা।

গত ১৩ ডিসেম্বর সাংবাদিক ভিসায় ইরান ভ্রমণে আসেন এই ইতালীয় নাগরিক। ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করেন। সিসিলিয়ার পাঠানো প্রতিবেদন নিয়ে বডকাস্টের তিনটি পর্ব তৈরি করা হয়েছিল।

 

সবা:স:জু- ৭০৭/২৫

৩২ বছর পর অপহৃত ছেলের মর্মস্পর্শী প্রত্যাবর্তন

৩২ বছর পর অপহৃত ছেলের মর্মস্পর্শী প্রত্যাবর্তন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাত্র দুই বছর বয়সে অপহৃত হওয়া এক ছেলে ৩২ বছর পর আবার ফিরে পেয়েছে তার বাবা-মাকে। ২ বছর বয়সে অপহৃত ওই বালক এখন রীতিমতো যুবক। তার নাম মুহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, আমার জীবনে একটাই চাওয়া ছিল- যেন কোনোদিন আমার মা-বাবাকে খুঁজে পাই। জিরগা অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সালিম সাফির সামনে তিনি বলেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এই পুনর্মিলন সম্ভব হয়েছে সমাজকর্মী ওয়ালিউল্লাহ মারুফের নিরলস প্রচেষ্টায়। তিনি জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে অপহৃত শিশু বা নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই এসব ভিডিও হারিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে একত্র করতে সাহায্য করে।

অনুষ্ঠানটির শুরুতেই সাফি বলেন, আজকের দিনটা আমার জন্য গর্বের ও আনন্দের। কারণ ৩২ বছর আগে অপহৃত হওয়া একটি ছেলে আমাদের অফিসেই তার প্রকৃত মা বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এটি আমাদের জন্য এক সম্মান। ১৯৯২ সালে ইসলামাবাদের বারী ইমাম এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ছোট্ট মুহাম্মদ সিদ্দিককে। অপহরণের পর তার নাম পাল্টে নতুন নাম রাখা হয় মুহাম্মদ আসিফ। তার বাবা-মা কখনও তাকে খোঁজা বন্ধ করেননি। প্রতিদিন তাদের মনে হয়েছে- আজও হয়তো ফিরে আসবে সেই সন্তান। আসিফ জানান, তাকে অপহরণ করেছিল এক মহিলা। তার ছিল তিন ভাই ও মা। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সরগোধা জেলার ঝানোরিয়া নামের একটি গ্রামে। সেখানে গিয়ে সে আরেক অপহৃত ছেলের সঙ্গে পরিচিত হয়। তাকে তিনি ‘বড় ভাই’ বলে উল্লেখ করেন। সেই ছেলেটিই প্রথম বলে দেয়, তারা আসলে অপহৃত। আসিফ বলেন, আমরা জানতাম না অপহৃত হয়েছি। কিন্তু কেউ ভালোবাসতো না আমাদের। লোকজনরা বলত আমরা দেখতে ওই পরিবারের মতো না। একসময় সন্দেহ দানা বাঁধে। তখন ওই পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

৯ বা ১০ বছর বয়সে আসিফ দ্বিতীয়বার পালিয়ে গিয়ে আবার ঝানোরিয়ায় ফেরেন। সেখানেই এক সদয় আইনজীবীর আশ্রয়ে আসেন। তিনি তাকে স্কুলে পাঠান, বড় করে তোলেন। পড়াশোনায় আগ্রহ না থাকলেও আসিফ পরিণত হন একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ানে। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন এবং নিজের উপার্জনে বাড়ি কেনেন। আসল পুনর্মিলনের সূচনা হয় এক স্বর্ণকারের দোকানে। সেখানে কারও সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমি চাই আমার প্রকৃত মা-বাবাকে খুঁজে পেতে। সেই ব্যক্তি তাকে পরিচয় করিয়ে দেন ওয়ালিউল্লাহ মারুফের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে তার জীবনের দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত জট খুলতে থাকে। আসিফ বলেন, ওয়ালিউল্লাহ ভাই আমার কাছ থেকে সব তথ্য নেন এবং শেষ পর্যন্ত আমার প্রকৃত বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেন।

এই পুনর্মিলন কেবল একটি পরিবারেরই ৩২ বছরের যন্ত্রণার অবসান নয়, বরং হাজারো নিখোঁজ সন্তানের পরিবারকে নতুন করে আশা জুগিয়েছে। জিরগা অনুষ্ঠানে সবার চোখেই ছিল অশ্রু। কিন্তু সেই অশ্রু ছিল আনন্দের। সমাজকর্মী মারুফ বলেন, আমাদের সমাজে অনেক সন্তান আজও খুঁজে ফিরছে তাদের হারিয়ে যাওয়া শিকড়। এই কাজের মাধ্যমে আমি শুধু তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারকে আবার জুড়তে চাই- যেন তারা আবার ফিরে পায় ভালোবাসা ও পরিচয়ের অধিকার।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান