জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা, থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার:

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) রাত ১১টার দিকে জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমতি, বহিষ্কৃত মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের নামও রয়েছে।

মামলার বাদী আরিফ আলী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমিসহ জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় জি এম কাদেরের বাস ভবনে তাণ্ডবের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এক ঘণ্টারও বেশি সময় বসিয়ে রেখে টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওসি মামলা রেকর্ড করতে পারবেন না বলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

তার অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে পুলিশ আওয়ামী লীগের কথা ছাড়া মামলা গ্রহণ করতো না। এখন ৫ আগস্টের পর আবারও একই কাজ করছে।

জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রংপুরে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ দিন কারাগারে আটক থাকার পর ৫ আগস্টে তিনি মুক্তি পান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা রংপুরবাসী সবাই জানে। তা ছাড়া জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারের যোদ্ধা ছিল।

ছাত্র সমাজের এই নেতা অভিযোগ করেন, শুক্রবার (২৯ মে) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। তিনি নগরীর সেনপাড়ায় তার পৈতৃক বাস ভবন স্কাইভিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনিও দলের চেয়ারম্যানের সফর সঙ্গী হিসেবে তার বাসভবনে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত কয়েকজনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জি এম কাদেরের পৈতৃক নিবাস স্কাইভিউতে কাটা রাইফেল, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা জি এম কাদের যে কক্ষে ছিলেন সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। জি এম কাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাস ভবনের সামনে থাকা মোটরসাইকেলে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাইফেল দিয়ে গুলি বর্ষণ করা হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোতোয়ালি থানার ওসি মামলা না নিয়ে নানান টালবাহানা করেন। এত বড় ঘটনার যদি মামলা নেওয়া না হয় তাহলে আইনের শাসন থাকে কোথায়? আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় রংপুরে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

এ বিষয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে ওসি আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আরিফ আলী বাদী হয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। আমরা তার অভিযোগপত্রটি নিয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসীর হট্টগোল

যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসীর হট্টগোল

শরীয়তপুর সংবাদদাতা:

শরীয়তপুরের গোসাইরইাট উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ। তাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসী হট্টগোল করেন। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার সামনে হট্টগোল করেন এলাকাবাসী। গ্রেফতারকৃত হলেন উপজেলা সামন্তসার ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন (৪৬)। তিনি ওই এলাকার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে।

জানা গেছে, ফারুক হোসেন গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে থানাও ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি পাশের ইউনিয়নে হলেও সকাল থেকে তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে ভাইসহ তার সহকর্মীরা থানার মেইন গেটে অবস্থান করছেন। ফারুককে গ্রেফতারের পর তার পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এরপর সকাল থেকে থানার সামনে হট্টগোল করে ফারুকের মুক্তি দাবি করেন তারা।

থানা থেকে যখন ফারুক হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে নেওয়ার প্রস্ততি চলছে- ওই সময় ফারুকের স্ত্রী মেয়ে ও তার সহকর্মীরা থানার সামনে এসে প্রিজনভ্যান দেখে ফারুকের মেয়ে চিৎকার করে বলেন আমার বাবাকে জেলে নিতে দেব না। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অন্য আসামিদের সঙ্গে ফারুককে জেলহাজতে পাঠায়। গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম বলেন, ২০১৮ সালে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন অপু সাহেবের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে যুবলীগ নেতা ফারুককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। সি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান