জনপ্রিয়তার শীর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইন্জিনিয়ার গুলফাম

আজিজুর রহমান বাবু, জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর : নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে। তবে এককাট্টা সমর্থক হয়ে এমন কিছু বলা উচিত হবে না। যা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকেরা আহত হতে পারেন।

গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটিং সিষ্টেম একটি নাগরিক অধিকার। একটি ভোটের মাধ্যমে দেশের যে কোন স্হানীয় নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর প্রতিফলন ঘটে থাকে। সেই প্রতিফলনে বাধা সৃষ্টি হলে কট্টর ভোটাররা মানসিক হতাশায় ভোগেন – ভাবনা পড়েন। মনে মনে উভয় সংকটে পড়েন – কী জানি কী হয় ? আবার কখনো পদ পদবী হারানোর ভয়ে স্নায়ু চাপে আতংকিত হন।

নির্বাচন পরবর্তী কোন বিজয়ী প্রার্থী কিন্তু ভোটারদের পরিবারকে কামাই রুজি করে খাওয়ায় না। তাঁরা নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়ে উত্সব মুখোর আমেজে ভরপুর থাকে। এঁরা আনন্দের সাথে নির্বাচনের সকল মুভমেন্ট উপভোগ করে – জয় পরাজয় নিশ্চিত করে।

বিগত উপজেলা নির্বাচনে হুমায়ুন কবির মোল্লা দু-দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে দু’বার ই বিজয়ী হয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন গুলোর উন্নয়ন খাতে উপজেলা পরিষদের বাজেট থেকে কোন বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদ পেয়েছে কিনা কখনো শুনিনি। জনমনে এমন প্রশ্ন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

হয়তো কেউ বলতে পারেন – আমাদের শরীয়তপুর-০২ এর গর্বিত অভিভাবক মাননীয় সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম এমপি মহোদয় কতৃক তো হচ্ছেই – আর দরকার কী ? এসব ধোপে টিকবে না কারণ জননেতার কৃতিত্ব জননেতাই ফিডব্যাক পাবেন।

তারপরও বলবো উপজেলা পরিষদের একটা নির্দিষ্ট বাজেট এবং কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে। সেটির বাস্তবায়ন কী কোন ইউনিয়নে হয়েছে ? কেউ বলতে পারবেন ?

জনগণ বিশ্বাস করে, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির মোল্লা একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক সংগঠক, তৃনমূল পর্যায়ে তাঁর দূরদর্শিতাও রয়েছে। তা অস্বীকার করবার জো নেই…. তবে তিনি বিগত দুই টার্মে নির্বাচিত হয়ে জনতার প্রকৃত সেবক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্হাপন করতে পারেননি।

অপরপক্ষে নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইন্জিনিয়ার জনাব ওয়াছেল কবির গুলফাম তৃনমূল পর্যায়ে এক্কেবারে নতুন হওয়ায় তাকে জনগন লুফে নিয়েছে। কারণ তাঁর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্ন ইমেজ নির্বাচনের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। জনগণ এতটুকু আস্হা রাখতে পারছে যে, তাঁকে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাতে পারলে – আর কিছু দিতে পারেন আর না পারেন কমপক্ষে ভালো আচরণ প্রদর্শন করে আগত উপকার ভোগীদের সম্ভাষণ জানিয়ে বুকে টানতে ভুল করবেন না।

একজন সুশিক্ষিত নেতা জনগনের কাছে সবচেয়ে বেশী আদরনীয় এবং কাংক্ষিত। কারণ উক্ত নেতা তাঁর শিষ্টাচারের মাধ্যমে এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে ভালোবাসার পাত্র।

মানবতা, মনুষ্যত্ব আর নাগরিক সচেতনতা যে নেতার অন্তরে বসবাস করে। তিনি কখনোই জনবিচ্ছিন্ন হতে পারেন না। ইতিহাস বারবার সেই সাক্ষী ই বহন করে আসছে।

জনগণ সকল ক্ষমতা প্রদানের হাতিয়ার। তাই বিশ্বাসী প্রার্থী ” ইন্জিনিয়ার জনাব ওয়াছেল কবির গুলফাম ” – মনে করেন ভেদরগঞ্জের সকল শান্তি প্রিয় জনতা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে না । সততার টানে, বিশ্বস্ততার টানে আগামীর ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জনগণ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।

সড়কে চাঁদা তোলা থামাতে গিয়ে মার খেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

সড়কে চাঁদা তোলা থামাতে গিয়ে মার খেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

নরসিংদী সাংবাদদাতা:

হামলায় আহত নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করা হচ্ছে।আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী পৌর এলাকার
নরসিংদীতে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলার সময় আটক দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী পৌর এলাকার আরশীনগর রেলক্রসিং সংলগ্ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে আরশীনগর মোড়ে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটক দুজনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালান একদল লোক। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন আটজন পুলিশ সদস্য নিয়ে শহরের বীরপুর এলাকায় একটি লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে বেলা ১১টার দিকে আরশীনগর মোড়ে অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে দেখতে পেয়ে সেখানে থামেন আনোয়ার হোসেন। এ সময় দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের পর আটক দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। এ সময় আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য কিলঘুষিতে আহত হন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদা গুলশানারা কবির বলেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন আমাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর ঘাড়ে ও পায়ে রক্ত জমে গেছে। আমরা কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ৩০–৩৫ জন লোক অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে। এরপর তারা আমাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী পৌরসভার সিএনজি ও অটোস্ট্যান্ডের ইজারাদার আলমগীর হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছি আমি, কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রায়ই ইজারার টাকা তুলতে বাধা দেন। এর আগেও তিনি আমাদের দুজনকে আটক করে মামলা দিয়ে জেলে পাঠান। আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়ে যদি কাজ করতে না পারি, তাহলে সরকারকে দেওয়া ২৫ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। পৌরসভার নিয়ম ও বৈধ ইজারার শর্ত মেনে সড়ক থেকে টাকা তোলার সময় পুলিশ বাধা দেওয়ায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা মিথ্যা, ভিত্তিহীন।

প্রসঙ্গত, ইজারাদার আলমগীর হোসেন জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইনের (বিদ্যুৎ) বড় ভাই। ইজারাদার সড়ক থেকে চাঁদা তুলতে পারেন কি না, জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও নরসিংদী পৌরসভার প্রশাসক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এই ইজারার আওতায় নির্ধারিত কয়েকটি স্ট্যান্ড থেকে টাকা তোলার কথা। কোনোভাবেই সড়কে চলাচলরত যানবাহন থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম