খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও এম এস এর পণ্য চুরির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ঃ

রাজধানীর কদমতলী পূর্ব জুড়াইনে খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ডিলার হাবিবের বিরুদ্ধে ও এম এস এর পণ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ও এম এস এর পণ্য ডেলিভারি পাওয়ার পরে ট্রাকে সেল করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না ডিলার করিম খানের ছেলে হাবিব। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ডেলিভারি নিয়ে তার নিজস্ব¦ দোকানের গোডাউনে তালা বদ্ধ করে রাখেন। সুনসান রাত গভীর হলে গোপনে বেশি মুনাফায় অন্য দোকানির কাছে বিক্রি করেন। যে কারণে তিনি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। তিনি এতই বেপরোয়া হয়েছেন কোনো সংবাদ কর্মী তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হেনস্তা করতে দ্বিধাবোধ করেন না। আবার কোনো কোনো সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। ও এম এস এর পণ্য বিক্রির ফুটেজসহ কদমতলী থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। থানা পুলিশ, ও স্থানীয় নেতা, পাতিনেতাসহ সবার সাথে গড়েতুলছেন সখ্যতা, যে কারণে সাধারণ মানুষ ভঁয়ে মুখ খুলতে নারাজ। খাদ্য অধিদপ্তরের পণ্য ডেলিভারিতেও রয়েছে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপণা। আব্দুল করিমের নামে লাইসেন্স থাকলেও সাম্প্রতিক পরিচালনা করছেন তাঁর ছেলে হাবিব।
জানা গেছে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল অনুমান চারটা ৩০মিনিটে সংবাদকর্মী জেসিকাসহ তিন সদস্যের একটি দল পূর্ব জুড়াইন ও এম এস এর পণ্য বিক্রির অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। যাওয়ার আগে কদমতলী থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি আইনের সুরক্ষা দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডিলার হাবিবের কাছে তথ্য চাওয়া হলে,তথ্য না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য  এক ব্যক্তি ধামাচাপা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে আরও বলেন,আমি আপনারা একই পেশার,স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু বিষয় ছাড় দিতে হয় বলে পাঁচ হাজার টাকা বেরকরে দেন। উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে ঘটে যায় বিপত্তি। ওই সময় ডিলার হাবিব নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হেনস্তা করার জন্য তার পোষা গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি টের পেয়ে কদমতলী থানার ওসিকে জানালে কোন জবাব না দিয়ে তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। পরে থানার ডিউটি অফিসারকে জানালে তিনিও অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন,এটা ওসি স্যারের ব্যাপার আমি আপনাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারব না। আপনারা স্যারকে ফোন দিতে পারেন। হাবিবের আচরণে এবং ওসির ফোনে কোনো রেসপন্স না পাওয়ায় অপরাধীর সঙ্গে সখ্যতার প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
একটি ¯’স্থানীয় সূত্র বলছে,প্রতি বৃহস্পতিবার পণ্য আমদানি করে তার নিজস্ব গোডাউনে রেখে গভীর রাতে বস্তা পরিবর্তন করেন। তিনদিন তার গোডাউনে জমা রেখে গোপনে গভীর রাতে বিক্রি করেন। থানা পুলিশকে বখরা দেওয়ায় গোপনে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। তবে এতালিকায় স্থানীয় নেতা,পাতিনেতারাও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সূত্রটি আরও বলছে খাদ্য অধিদপ্তরের জিকরুল আলম( ইয়ারো), জুড়াইন এলাকার হুমায়ুন খাদ্য পরিদর্শক নামের কর্মকর্তাগণ পণ্য বিক্রির কাজে সহযোগিতা করছেন বলে জানা যায। যে কারণে প্রতি বৃহস্পতিবার পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পেছনে হাত রযেছে।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে ডিলার করিম খানের ছেলে হাবিব বলেন,আপনি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেন আমাকে ফোন দেবেন না। আমার নামে কোনো লাইসেন্স নাই যা করার অফিস করবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে ফোন দেলে ফোন কল গ্রহণ করেননি। খাদ্য অধিপ্তরের ইয়ারো জিকরুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান, গভীর রাতে পণ্য বিক্রি করলে আমরা ঠেকাতে পারিনা। আমাদের ওই সময় ডিউটি থাকেনা বা আমাদের পাহারা দেওয়ার কাজ না । যদি আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। এসব বিষয় জানার জন্য কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম  জানান আমাকে কেউ ফোন করেননি বা আমার ফোন কথনও বন্ধ থাকেনা।

১০ দিন ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি; মিয়ানমারে অস্থিরতায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা

 

শহীদুল ইসলাম শাহেদ টেকনাফ (কক্সবাজার):
মিয়ানমারে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংষর্ঘের জেরে ১০দিন ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরে বন্ধআমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাখাইনের মংডু হয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্য আসেনি। টেকনাফ থেকেও পণ্য যাচ্ছে না দেশটিতে। সীমান্ত বাণিজ্য অচল হওয়ায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ। এ কারণে রাখাইনের জেলা শহর মংডু থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গেছে।

১০দিন ধরে এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মূলত বন্ধই রয়েছে। এতে করে প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ৪৭ টনের একটি হিমায়িত মাছের চালান টেকনাফে এসেছিল।

মিয়ানমারের মংডুর অবস্থান টেকনাফের উল্টো পাশে নাফ নদীর ওপারে। টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে শহরটির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন এ বন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ১০ দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আগে আসা আদা, নারিকেল, আচার, সুপারি, শুঁটকিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গতকাল বুধবার টেকনাফ স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের জেটি ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো কার্গো ট্রলার বা জাহাজ নেই। কার্যক্রম না থাকায় বন্দরের কর্মরত শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছেন। এদিকে এ স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকানপাটও প্রায় বন্ধ।

স্বাভাবিক সময়ে বন্দরের প্রধান ফটকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জটলা দেখা গেলেও গতকাল কোনো যানবাহন চোখে পড়েনি। নাফ নদীতেও নেই পণ্যবোঝাই ট্রলার-জাহাজ। তবে বন্দরের খোলা জায়গা ও ওয়্যারহাউসে মিয়ানমার থেকে আগে আসা বিভিন্ন ধরনের কাঠ, আদা, শুকনা সুপারি, শুঁটকি, নারিকেল, আচারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য মজুত রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান জানান, মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনেছি, তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে তা–ও বলা যাচ্ছে না। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর কেন্দ্রিক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ১৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। দেশটির স্থানীয় প্রশাসন আকিয়াব শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

স্থলবন্দরের শ্রমিকনেতা আলী আজগর মাঝি জানান, বন্দরে মালামাল ওঠা–নামার কাজের জন্য ৬ শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন। টানা ৯ দিন কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এসব শ্রমিক। আয় না থাকলে অনেকের ঘরে চুলা জ্বলে না।

মিয়ানমার থেকে হিমায়িত মাছ আমদানিকারক সামির কায়সার জানান, হঠাৎ করে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মিয়ানমারে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু পণ্য আটকা পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছসহ পচনশীল নানা পণ্য। এসব পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আনতে না পারলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ, আদা, শুঁটকি ও সুপারি আমদানি করেন ব্যবসায়ী ওমর ফারুক। তিনি জানান, চলতি মাসের শুরুতে ১ হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ ও আদা আমদানি করা হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এর বাইরে আরও ৬০০ টন পেঁয়াজ, ৪০০ টন আদা কিনে রাখা হয়েছিল। এখন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এসব পচনশীল পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর বাইরে ৪০০ টন শুঁটকি ও সাড়ে ৫০০ টন সুপারি মিয়ানমারে আটকে আছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশাররফ হোসেন জানান, হঠাৎ করে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দিনে তিন কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন