
স্টাফ রিপোর্টার:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুস্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর আহত গণমাধ্যমকর্মীর মামলা নিচ্ছে না পুলিশ, থানায় এজাহার দিলেও তা মামলা হিসেবে এন্টি করতে গড়িমসি করছে ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা থানার ওসি ইয়াসিন গাজী। গেলো ১৮ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় দায়িত্বপালনকালে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্রে সজ্জিত দুষ্কৃতিকারীরা এসএটিভির স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ সোহান খান ও ভিডিওগ্রাফার মোহাম্মদ হারুনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে উভয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের পাশাপাশি সোহান খানের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এঘটনায় সেখানেই এএমজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহান খানকে। হাসপাতালটির সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সরব উপস্থিতি থাকায় ২ দিন চিকিৎসার পর ভয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় ফিরে সোহান খান।
এঘটনায় মামলা করতে গেলো ২২ জুলাই বাড্ডা থানায় একটি এজাহার দিলে, পুলিশ তা জমা রেখে দিয়ে পরের দিন যোগাযোগ করতে বলে। গেলো ৪ দিন অতিবাহিত হলেও বাড্ডা থানা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে থানায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা একাধিক অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও গেলো ৪দিনে তারা মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন গাজীকে দফায় দফায় ফোন করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার শামিম আহাম্মেদ রিফাতের সাথে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি’র) তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে মামলা নেয়া হচ্ছে। যাকে কোনো ভূয়া মামলা রুজু না হয়। নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ডিএমপি। তারপর মামলাটি নেয়া হবে বলেও জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি।
ডিএমপির যাচাই বাছাই কমিটির পক্ষে একটি মামলার মতামত দিতে, ৪ দিন সময় নেয়ার পরেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলে, পুলিশের কর্মতৎপরতা নিয়ে বরাবরের মতো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ বিটের একজন গণমাধ্যমকর্মীর অভিযোগের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ যদি এমন হয়, সাধারণ ভুক্তভোগীর অবস্থা কোথায় গিয়ে দাড়ায়!