কুয়াশায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

তীব্র কুয়াশার কারণে প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শুক্রবার পদ্মা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নদীতে চলাচলরত ফেরির দিক নির্দেশিকা বাতির (মার্কিং বাতি) আলো অস্পষ্ট হয়ে আসছিল।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর মাঝ পদ্মা নদীতে রো রো ফেরি মতিউর রহমান যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে পড়ে। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় উভয় ঘাট এলাকায় বেশ কিছু যানবাহন নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে নদীতে কুয়াশার তীব্রতা কমতে শুরু করায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকা ফেরি সকাল ৮টার দিকে তীরে এসে নোঙর করে এবং যাত্রী ও যানবাহন আনলোড করেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় বেশ কিছু যানবাহন নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অপেক্ষাকৃত যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী নৌপথ পার করা হচ্ছে।

 

সবা:স:জু- ৬২৫/২৫

প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রসব করাতে গিয়ে,নবজাতকের মৃত্যু

প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রসব করাতে গিয়ে,নবজাতকের মৃত্যু

জামালপুর জেলা সংবাদদাতা: জামালপুর শহরে প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকার নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে ওই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রের নার্স ও আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক।

প্রসূতি নওরিন জান্নাত মৌ (২১) সদর উপজেলার নারিকেলি এলাকার সোহেল আনসারীর স্ত্রী।

নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নওরিন জান্নাত মৌয়ের (২১) প্রসববেদনা উঠলে জামালপুর পৌর শহরের নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। ওই সময় নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে কোনো গাইনি চিকিৎসক ছিলো না। পরে শনিবার ভোররাতে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন নার্স শিরিন আক্তার ও আয়া ময়না বেগম। এ সময় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের পরিচালকসহ অন্যান্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

নিহত নবজাতকের চাচা সৌরভ বলেন, ‘এখানে এসে দেখি বাচ্চার গলায় ছিলে গিয়েছে, নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচাই চাই।’

নিহত নবজাতকের বাবা সোহেল আনসারী বলেন, ‘হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিলেন না। নার্স ও আয়া দুইজন মিলে টেনেহিঁচড়ে বাচ্চা বের করছেন, এজন্য শিশুটি মারা যায়। বাচ্চার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার জন্য নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইলে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পরিস্থিতি বিবেচনায় নার্স ও আয়াকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নবজাতকের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান