
হাফসা আক্তার ঃ
রাজধানীর উত্তরা তুরাগ থানা নয়ানগর এলাকায় প্লান অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণ করায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় নয়ানগর এলাকায় ১০ তলা একটি বিল্ডিং এর অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয় এ সময় অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানায় আমাদেরকে পূর্বে নোটিশ প্রধান না করে আমাদের বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলা হয়। অভিযোগ করেও আবার তিনি রাজউক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আরেকটি নতুন ৪ তলা ও ২ তলা রাস্তা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করায় অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। বিল্ডিং উচ্ছেদ অভিযানের সময় প্রতিটি বিল্ডিং এর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৪ তলা ও ২ তলা বিল্ডি এর মালিক কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও তাদের তোয়াক্কা না করে বিল্ডিং নির্মাণ করে। তারা আরো জানিয়েছে এভাবে যদি অভিযান পরিচালনা করা হয় তাহলে ভালো হবে আর এভাবে কেউ অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করবে না। এই পুরা অভিযানটি পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।
উচ্ছেদ অভিযানের বিষয় ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন রাজধানী কর্তৃপক্ষ জুন ৩/২ আওতাধীন তুরাগ এলাকায় রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ করায় মোবাইল কোড পরিচালনা করা হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন দেখা যাচ্ছে এইসব এলাকায় এমারত মালিকগণ রাজউক কর্তৃক নকশা অনুমোদন নিয়ে ও সেই অনুমোদনকৃত নকশা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ করছেন না। আমরা এইসব ব্যত্যয়কৃত ইমারত নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দণ্ড প্রদান করছি এবং একই সাথে তারা যেন পরবর্তীতে অনুমোদনকৃত নকশা ব্যত্যয় করে ইমারত নির্মাণ না করে সেই বিষয় সচেতন করছি। আমরা পর্যায়ক্রমে এই এলাকায় সকল ব্যত্যয়কৃত ইমারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরও বলেন, আমার একই সাথে ভবন মালিকদের নিয়মাবলী মানার ব্যাপারে সতর্কতা মূলক দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। আমরা আগেও বলেছি এ ভ্রাম্যমান আদালত একটি চলমান প্রক্রিয়া যা পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে। মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন ৩/২ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মোহাম্মদ এহসানুল ইমাম, ইমারত পরিদর্শক মোহাম্মদ আবু রাশেদ ও অন্যান্য রাজউকের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।