বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে সাংবাদিক আতাউস সামাদ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত”

রাসেল আহমেদ :

কিংবদন্তী সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব মসজিদে দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে অতুলনীয় কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও পরিশ্রমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সাংবাদিক আতাউস সামাদকে জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।

আজ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব মসজিদে বাদ আছর কিংবদন্তি এই নেতার স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ‘সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ’।

কিংবদন্তি এই নেতার স্মরণে দোয়া মাহফিলের উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি নন্দিত সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তফা কামাল মজুমদার, সিনিয়র সাংবাদিক সামসুল হক দুররানী, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক আতাউস সামাদের প্রতি স্মৃতি চারণ করে বলেন, বিবিসি খ্যাত এই সাংবাদিকের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি ১৯৫৬ সালে সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীতে। কাজ করেছেন সংবাদ, আজাদ, পাকিস্তান অবজার্ভার, দি সান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টাইমস এ। ১৯৮২ থেকে ’৯৫ সাল পর্যন্ত বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে বাংলাদেশ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে তাকে কারাবরণ করতে হয়। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দু’বার। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য আতাউস সামাদ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভ‚ষিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। আজকের অনেক স্বনামধন্য সাংবাদিকের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বই ‘এ কালের বয়ান’। এনটিভি, আমার দেশ-এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই ইন্তেকাল করেন।

শীতকালের অজু ও গোসলে বিশেষ সতর্কতা

স্টাফ রিপোর্টারঃ 

পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু ও গোসল করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে কোন ভুলগুলো হলে অজু ও গোসল হবে না। অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক। অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না।

বিশেষ করে অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম।

তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন।

” (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে মানুষের পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়। বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থাকলে পবিত্রতা অর্জন হবে না।

এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে, তাহলে দেখতে হবে যদি উক্ত তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাঁধা ও আবরণবিশিষ্ট হয়, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের পূর্বে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাঁধা অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে করে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা : ১৭৪)

সবা:স:জু- ৬১৫/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম