চেয়ারম্যানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিউজ করায় সাংবাদিককে হুমকি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকায় ও অনলাইন ভার্সনে “সন্দ্বীপে একযুগ ধরে প্রক্সি শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে বেতনভাতার সুবিধা নিচ্ছে চেয়ারম্যানের ‘স্ত্রী’!” এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে সন্ধীপের প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বিশেষসূত্রে পাওয়া এই খবরে সাংবাদিকের পরিচয় গোপন করা হয়েছিল। কিন্তু সন্দ্বীপের এক যুবক, যিনি কিছু অনলাইন পোর্টালে কাজ করেন, তাকে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাই সে যুবক দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর অফিসে নিজের অসহায়ত্ব ও নিরাপত্তাহীনতা ভোগার কথা জানিয়েছেন। কেবল মামলাই নয়, মিজানুর রহমান মিজান এর ভাই ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত হওয়ায় সাংবাদিক এর জীবন হুমকির মুখে।

মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সহ-সভাপতি। তার ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ছোট ভাই-ই মূলত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ধীপে। চেয়ারম্যান এর ছত্রছায়ায় একের পর এক অপকর্মে জড়িত মাকসুদ। মিজানুর রহমান মিজান বিরুদ্ধে এলাকায় নানান অভিযোগ রয়েছে। জমি দখল, চাঁদাবাজি, অবৈধ ইট ভাটার মালিকানা ও তার ভাইয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন আসছে……..(চলবে)

বিটিভির ১২ কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রস্তাব বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ১২ কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রস্তাব বাতিল করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) আহ্বায়ক মাহবুবা ফারজানার সভাপতিত্বে এই পদোন্নতি চূড়ান্ত করার কথা ছিল।

একইদিন একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও পদোন্নতির জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে পদোন্নতি কমিটির সভা এবং সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব বাতিল করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

তবে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ এক বিবৃতিতে জানান, বিটিভি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ১৭ মার্চের সভাটি অনুষ্ঠিত হবে না, যা ইতোমধ্যে ১৬ মার্চ দাপ্তরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিটিভির ১২ কর্মকর্তার পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তার নামের তালিকা একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। গোয়েন্দা তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই তালিকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত পতিত সরকারের দোসরদের নাম রয়েছে। এছাড়া তালিকায় থাকা অন্তত পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণও পাওয়া গেছে। এতকিছুর পরও রহস্যজনক কারণে তাদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেছিল মন্ত্রণালয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম