
ডেস্ক রিপোর্ট :
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু হেনা রাজ্জাকী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রতিনিধিত্বমূলক অনুপাত (পিআর) পদ্ধতি ছাড়া জামায়াতে ইসলামী চার থেকে পাঁচটির বেশি আসন পাওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই। সাম্প্রতিক একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হেনা রাজ্জাকী বলেন,জামায়াতে ইসলামী পিআর ছাড়া নির্বাচনে গেলে,সর্বোচ্চ হিসেবেও দলটি ১০টির বেশি আসন পেতে পারে না, যা সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের শক্ত অবস্থান গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।কিন্তু এই দ্বিদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝখানে অনেক সময় জামায়াত নির্ধারক ভূমিকায় উঠে এসেছে। তার ভাষায় রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। প্রয়োজনে শত্রুর শত্রুই মিত্রে পরিণত হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর উদাহরণ অসংখ্য।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোট ব্যাংক মূলত স্থির। জামায়াতেরও একটি নির্দিষ্ট ভোটার শ্রেণি আছে। কিন্তু নতুন শক্তি যেমন এনসিপি কিংবা কিছু ফ্লোটিং ভোটার তাদের ভোট যদি ছিটকে যায়, তবুও পিআর পদ্ধতি না থাকলে জামায়াতের সম্ভাবনা সীমিতই থেকে যাবে।রাজ্জাকীর মতে, পিআর পদ্ধতি জামায়াতের জন্য ছিল এক ধরনের আশীর্বাদ, কারণ এতে সরাসরি ভোটে পরাজিত হলেও জনপ্রিয়তার অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেই পদ্ধতি বাস্তবায়ন না হলে সংগঠনগত শক্তি থাকা সত্ত্বেও দলটির পক্ষে বড় সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে।
তিনি বলেন, জামায়াত একটি অত্যন্ত সংগঠিত দল এক ধরনের রেজিমেন্টেড ফোর্স । তবে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বড় দলের সমর্থন ছাড়া তাদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য আসন পাওয়া সম্ভব নয়।আবু হেনা রাজ্জাকী মনে করেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা বা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিস্থিতিতে শাসক দল কৌশলগত কারণে ছোট দলগুলোকে পাশে রাখতে পারে। তার ভাষায়, যদি আওয়ামী লীগ মনে করে যে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় জামায়ত বা অনুরূপ কোনো দলকে আংশিকভাবে মাঠে রাখা দরকার, তাহলে সেটিও তারা করতে পারে।





